কোলার স্বর্ণখনি
কোলার গোল্ড ফিল্ডস "লিটল ইংল্যান্ড" | |
---|---|
ডাকনাম: কেজিএফ | |
স্থানাঙ্ক: ১২°৫৭′৪২″ উত্তর ৭৮°১৬′১৫″ পূর্ব / ১২.৯৬১৭৩৬° উত্তর ৭৮.২৭০৭২১° পূর্ব | |
Country | ভারত |
State | কর্ণাটক |
District | কোলার |
সরকার | |
• শাসক | রবার্টসন পেত সিটি মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিল |
আয়তন | |
• মোট | ৫৮.১২ বর্গকিমি (২২.৪৪ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ৮৪৮ মিটার (২,৭৮২ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ১,৬৩,৬৪৩ |
• জনঘনত্ব | ২,৮০০/বর্গকিমি (৭,৩০০/বর্গমাইল) |
Languages | |
• Official | Kannada |
সময় অঞ্চল | IST (ইউটিসি+5:30) |
পিন | ৫৬৩১১৫ -৫৬৩১২২ |
টেলিফোন কোড | ০৮১৫৩ |
যানবাহন নিবন্ধন | KA 08 |
কাছাকাছি শহর | বেঙ্গালুরু, কোলার |
লোক সভা | কোলার |
বিধান সভা | K.G.F. |
গ্রীষ্মে গড় তাপমাত্রা | ৩২ °সে (৯০ °ফা) |
শীতে গড় তাপমাত্রা | ১২ °সে (৫৪ °ফা) |
ওয়েবসাইট | http://www.robertsonpetcity.gov.in |
কোলার স্বর্ণখনি বা কোলার গোল্ড ফিল্ডস বা কেজিএফ হচ্ছে কর্ণাটক রাজ্যের কোলার এর একটি খনির অঞ্চল এবং তালুক। রবার্টসন পেত হচ্ছে কোলার স্বর্ণখনির সদরদপ্তর।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]কোলার স্বর্ণখনির প্রাথমিক ইতিহাস ওয়েসলেয়ান তামিল মিশন,বেঙ্গালুরু এবং কোলার গোল্ড ফিল্ডের সুপারেন্টেন্ডেন্ট ডেভিড পিল্লাই। তার গবেষণা ও পর্যবেক্ষণ ত্রৈমাসিক পত্রিকা মিথিক সোসাইটি এবং অন্যান্য জার্নালে প্রকাশিত হয়।[১][২][৩]
শহরের জন্ম ইতিহাস
[সম্পাদনা]সোনার খনি বৃদ্ধি এবং শ্রমচাহিদা বৃদ্ধির ফলে, তামারনাডুর ধর্মপুরি, কৃষ্ণগিরি, সালেম, উত্তর ও দক্ষিণ আর্কট জেলার মানুষ এবং অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তুর, মাদানপল্লী ও অনন্তপুর জেলার মানুষ বিভিন্ন শাফলের চারপাশে বসতি স্থাপন করে। শহরে প্রাণকেন্দ্রে মূলত ব্রিটিশ ও ভারতীয় প্রকৌশলী, ভূতাত্ত্বিক ও খনি সুপারভাইজাররা গ্র্যান্ড ঔপনিবেশিক জীবনযাপন করত যাদের জন্য ছিল গলফ কোর্স, টেনিস কোর্ট, ড্যান্স হল এবং বার সহ ক্লাব, কুটির এবং বাংলো। কর্মীদের জন্য বাগান ও বাসস্থান এবং গীর্জা এবং চ্যাপেলও ছিল সেখানে।
১৯০২ সালের জুনে, ভারতের প্রথম এবং প্রাচীন বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র থেকে কেজিএফে খনির অপারেশনগুলির জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়/ এটি শিবসামামুদ জলপ্রপাত থেকে প্রাপ্ত বিদ্যুৎ যা 'কভারি ইলেকট্রিক পাওয়ার প্লান্ট' নামে পরিচিত ছিল।[৪]
কোলার অঞ্চলের চারপাশে বিভিন্ন শিলালিপি রয়েছে যা বিভিন্ন সময়ে মহাভারীদের (বানাস), কদম্বাস, চালুক, পাল্লা, বৈদুম্বাস, রাস্তাকুত, চোলাস, হোয়সালাস এবং ময়সুর রাজাদের রাজত্বের নিদর্শন। [১][২][৩][৫][৬]
কোলার জাতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক স্মৃতিস্তম্ভ
[সম্পাদনা]কোলার গোল্ড ফিল্ডগুলিতে কোলার গোল্ড ফিল্ডের পাইরোক্লাস্টিকস এবং পিলো লাভা রক্ষা, রক্ষণাবেক্ষণ, প্রচার এবং জোটের বর্ধিতকরণের উন্নতির জন্য ভূতাত্ত্বিক সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (জিএসআই) দ্বারা ভারতের জাতীয় ভূতাত্ত্বিক স্মৃতিসৌধ ঘোষিত হয়েছে।[৭][৮][৯]
শিক্ষা
[সম্পাদনা]১৯০১ সালে, ন্যান্ডিডোরগগ খনিতে কোম্পানির ব্রিটিশ ও ইউরোপীয় কর্মীদের শিশুদের শিক্ষার জন্য ইংরেজি মিডিয়াম প্রাইমারি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন জন টেইলর অ্যান্ড সন্স কোম্পানি। এটি কোলার সোনা ফিল্ডস বয়েজ স্কুল ওরিগাম নামে পরিচিত ছিল এবং পরবর্তীতে মিডল স্কুল এবং তারপরে হাই স্কুলে উন্নীত হয়েছিল, শিক্ষার্থীরা নিম্ন ক্যামব্রিজ এবং সিনিয়র ক্যামব্রিজ লেভেল পরীক্ষায় উপনীত হয়েছিল।
জনসংখ্যার উপাত্ত
[সম্পাদনা]দাপ্তরিক ভাষা কন্নড়, তবে কোলার জেলার বেশিরভাগ কন্নড় ও তামিল ভাষী জনসংখ্যা রয়েছে যদিও তামিলরা কেজিএফে সংখ্যাগরিষ্ঠ।[১০] বেশিরভাগ তামিল জনগোষ্ঠী ১৯ শতকের শেষদিকে ব্রিটিশদের দ্বারা আনীত মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির উত্তর আর্কট, চিত্তুর, সালেম এবং ধর্মপুরি জেলার শ্রমিকরা ছিল তাদের পূর্বপুরুষ। এদেরকে আনা হয়েছিল কারণ স্থানীয় গ্রামবাসী কাজ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল।[৫]
চলচ্চিত্র
[সম্পাদনা]কেজিএফ: চ্যাপটার ওয়ান একটি চলচ্চিত্র এর উপর ভিত্তি করে করা হয়েছে।
কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু চলচ্চিত্র ১৪ এপ্রিল ২০২২ এ মুক্তি পেয়েছে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ Mythic Society (Bangalore, India) (১৯১৮)। The Quarterly Journal of the Mythic Society। 9–10: iv, 5, 8, 300।
|শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য) - ↑ ক খ Goodwill, Fred (১৯১৮)। "Nandidroog"। The Quarterly Journal of the Mythic Society। 9–10: 300। সংগ্রহের তারিখ ২৭ আগস্ট ২০১৪।
- ↑ ক খ Goodwill, Fred (১৯২১)। "The Religious and Military Story of Nudydurga"। KGF Mining and Metallurgical Society (5)।
- ↑ Iyer, Meera (২১ জুন ২০১৫)। "Miscellany - A time capsule" (Bangalore)। Deccan Herald। সংগ্রহের তারিখ ৭ আগস্ট ২০১৫।
- ↑ ক খ Srikumar, S (১২ মার্চ ২০১৪)। Kolar Gold Field: (Unfolding the Untold) (International সংস্করণ)। Partridge Publishing। পৃষ্ঠা 40–46। আইএসবিএন 1482815079। সংগ্রহের তারিখ ২৭ আগস্ট ২০১৪।
- ↑ Chandrashekar, Gayatri (২০১৫)। Grit and Gold (ইংরেজি ভাষায়)। Partridge Publishing। আইএসবিএন 9781482855845। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০১৬।
- ↑ "National Geological Monument, from Geological Survey of India website"। ১২ জুলাই ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১৯।
- ↑ "Geo-Heritage Sites"। pib.nic.in। Press Information Bureau। ২০১৬-০৩-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৯-১৫।
- ↑ ওয়েব্যাক মেশিনে [https://web.archive.org/web/20170111120428/http://naturalheritage.intach.org/wp-content/uploads/2016/09/Geoheritage-Monograph.pdf আর্কাইভকৃত ১১ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে national geo-heritage of India, INTACH]
- ↑ "Data on Language and Mother Tongue"। Censusindia.gov.in। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০১৮।